শখের দামী গাড়িটি কেনার সাথে সাথে কেনা হয়ে যায় হাজারটা ঝক্কি ঝামেলাও। তাই বলে ঝামেলার সাথে কি আপোস করা চলে? বরং নিজের গাড়ির সুরক্ষার ব্যাপারে আরেকটু যত্নবান হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
- প্রথমেই আসি গাড়ির মূল অংশ ইঞ্জিন প্রসঙ্গে। ইঞ্জিন সচল ও কর্মক্ষম রাখতে নিয়মিত লুব্রিকেটিং করা প্রয়োজন। লুব্রিকেশন প্রক্রিয়ায় সঠিক ঘনত্বের তেল ব্যবহার করা জরুরী। এটি ইঞ্জিনের তাপ প্রশমিত করে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া বর্ষার দিনে জলাবদ্ধ রাস্তা এড়িয়ে চলাই ভাল, খুব প্রয়োজন হলে গন্তব্যে পৌছানোর সাথে সাথে ইঞ্জিন পরিষ্কার করে নেয়া উচিত। তা নাহলে ইঞ্জিনে পানি জমে অকেজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- নিয়মিতভাবে গাড়ির ব্রেক সিস্টেম পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ব্রেক ফ্লুইড এর লেভেল চেক করলে বোঝা যায় ব্রেকসু বা প্যাড কি পরিমাণ ক্ষয় হচ্ছে। বছরে একবার নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্রেক ফ্লুইড পরিবর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রে কখনও মিশ্রিত ফ্লুইড ব্যবহার করা উচিত নয়।
- গাড়ির হেডলাইট জ্বলছে কিনা এবং উজ্জ্বলতা কমে গিয়েছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। লাইটে ভাল মানের গ্লোব ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া গাড়ির ব্যকলাইট নষ্ট হলে তা পরিবর্তন না করে রাস্তায় নামা ঝুকির কারণ হতে পারে।
- গাড়ির উইন্ডো প্যান, সুইচ প্যানেল ইত্যাদি বৈদ্যুতিক কম্পোনেন্টগুলোর ইলেকট্রিকাল ওয়্যারিং নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে যেন ধুলোবালি জমে ক্লগিং না হয়। তাছাড়া গাড়ির এসব অংশ নির্দিষ্ট মেকানিকের হাতে চেক-আপ করলে সার্ভিসিং এর মান ঠিক থাকে।
- গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন গাড়ির লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত কাগজ ড্যাশবোর্ডের ড্রয়ারে সংরক্ষণ করা উচিত। আরও রাখা যায় বাড়তি চাকা, চাকা বদলানোর যন্ত্রপাতি ও বাড়তি ব্রেকওয়্যার। আবার বৃষ্টির দিনে প্লাস্টিকের সিটকভারও সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
এসব ছাড়াও গাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার করার কোন বিকল্প নেই। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যে গাড়ির সিট ও কার্পেট পরিষ্কার করতে হবে। আর প্রতিদিন পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে উইন্ডশিল্ড। মোট কথা গাড়ির যত্নের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে। তবেইতো ভাল থাকবে সাধের গাড়িটি।
61 total views, 2 views today